সম্প্রতি ইউনেস্কো “কলকাতার” দুর্গাপূজাকে “ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ” তালিকায় স্থান দিয়েছে।
এবার ইউনেস্কোর সম্মান প্রাপ্তির হিসেব নিয়ে আলোচনায় আসা যাক।
ইউনেস্কোর দেওয়া সম্মানগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরা হয় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটকে। আজ অবধি পশ্চিমবঙ্গে এমন সম্মান পেয়েছে দুটি সাইট :
(১) ১৯৮৪ সালে সুন্দরবন।
(২) ১৯৯৯ সালে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে।
এবার আসুন, “ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ” তকমা নিয়ে। এই দেশে কি এটা অভূতপূর্ব?
আজ্ঞে, না!
এর আগে ১৩টি ভারতীয় উৎসবকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে, দুর্গাপুজো এক্ষেত্রে এই দেশে ১৪তম সম্মানপ্রাপ্তি।
বিশ্বের নিরিখে দেখলে এই “ইনট্যানজিবল হেরিটেজ সম্মান” সবথেকে বেশি পেয়েছে চীন- ৪২টি, তারপর দ্বিতীয় স্থানে অনেকটা পিছিয়ে ফ্রান্স-২৩ টি।
এই সম্মান ইউনেস্কো দেওয়া শুরু করছে ২০০৩ সালের পর থেকে।
ভারতের কোনো উৎসবকে প্রথম এই সম্মান দেওয়া হয় ২০০৮ সালে।
সেই বছরেই এই সম্মান পায় কেরলের কুটিয়াট্টাম নামক সংস্কৃত নাটক, তখন মুখ্যমন্ত্রী ভি এস অচ্চ্যুদানন্দন।
সেই বছরেই এই সম্মান পায় রামলীলা, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারনও।
২০০৯-তে এ সম্মান পায় গাড়োয়াল হিমালয়ের রাম্মান নামক ধর্মীয় উৎসব।
২০১০-এ এই সম্মান পায় কেরলের মুডিয়েট্টু নৃত্যনাট্ট- তখনও মুখ্যমন্ত্রী ভি এস অচ্যুতানন্দন।
এবং সেই বছরেই জঙ্গলমহলের ছৌ নাচও এই সম্মান পায়- তখন বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
সেই বছরেই একই সম্মান পায় রাজস্থানের কালবেলিয়া নৃত্যগীত।
২০১২ তে এই সম্মান পায় লাডাকের বৌদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণ।
২০১৩ তে এই সম্মান পায় মনিপুরের বৈষ্ণব সংকীর্তন।
২০১৪ তে এই সম্মান পায় পাঞ্জাবের তামা ও পিতলের কারুকাজ করা বাসন।
২০১৬ তে এই সম্মান পায় যোগসাধনা ও পার্সিদের উৎসব নওরোজ।
২০১৭ তে এই সম্মান পায় কুম্ভমেলা।
দীর্ঘ চার বছর পর ২০২১-এ “কলকাতার” দুর্গাপুজো এই সম্মান পেলো।
দেখা যাচ্ছে রাঢ় বাংলার ছৌনাচ আজ থেকে ১১ বছর আগেই এই সম্মান পেয়েছে।